আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ক্রম-একমুখীতার মধ্যে অবস্থান করে অনেক ক্ষেত্রেই পারিপার্শ্বিক জঞ্জালের কথা ভুলে যাই। এটা কেবল বাস্তুবিক নয়, এই জঞ্জাল অবস্থান করে আমাদের চিন্তায়, আমাদের মননে। তৈরি হয় এক আনুভূতিক আস্তাকুঁড়। ঘাড়ত্যাড়ার প্রথম সংস্করণে শিল্পীগণ চেষ্টা করেছেন সেসব দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তা, এবং বিষয়কে বিশ্লেষণ করতে, সেগুলোকে মোকাবেলা করতে, যেগুলোকে তারা প্রশ্নযোগ্য কিংবা পুনর্নির্মাণযোগ্য মনে করেন।
পূর্বপ্রতিষ্ঠিত প্রথা এবং মূল্যবোধসমূহকে প্রশ্ন করার মাধ্যমে আমরা নিজেদের এমন একটি ন্যারেটিভ নির্মাণে প্রয়াসী যার কারণে দর্শক শিল্পকে দেখার প্রক্রিয়া কিংবা কোন একটা স্পেসে শিল্পকে দেখার সার্বিক ধারনাগুলোকে পুনর্মূল্যায়নে বাধ্য হয়। শিল্পকে সংজ্ঞায়িত করার প্রথাসিদ্ধ আচরণ থেকে বেরিয়ে এসে, এবং শিল্পকে সঙ্গতি কিংবা ঐকতানের ধারনার সাথে সম্পর্কিত করার প্রবণতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মাধ্যমে, আমরা দর্শকদের উৎসাহিত করছি শিল্পকর্মের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের। এবং এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তারা হয়তো নিজেদের শৈল্পিক মূল্যবোধ নির্মাণ ও চর্চায় সচেষ্ট হবেন।
এপ্রিল ১২-২৫, ২০১৯ । দ্বিপ গ্যালারী, ঢাকা, বাংলাদেশ